সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনার দায় নিরূপণে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ ওই আদেশ দেন। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থান বিষয়ে নীরবতায় অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১৮ই অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় আদেশের আর্জি জানান। মঙ্গলবার শুনানির পর আদালত সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনার দায় নিরূপণে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। কমিটিতে যারা থাকবেন তারা হলেন, সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সাধারণ) কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম