খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের রূপরামপুর দেলতলা মাঠে ২দিনব্যাপী গ্রামীণ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বিল ডাকাতিয়া পিঠা উৎসব পর্ষদের আয়োজনে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান।
মাঠে ঢুকতেই প্রবেশ দ্বারে রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় দুটি খেঁজুর গাছের রস আহরণে ঠিলে ঝুলানো দৃশ্য। এরপর মাঠের চারপাশ ঘিরে রয়েছে হরেক রকমের পিঠার স্টল। এসব স্টল গুলো তত্ত্বাবধায়নে বেশির ভাগ ছিল নারীরা।
গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ পিঠা উৎসব দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। দোকানী প্রিয়া সরকার,মেঘা মন্ডল সহ একাধিক নারী দোকানী ১৫ প্রকারের পিঠা তৈরি করে সাজিয়ে রেখেছে। তারা বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও উৎসুক জনতা দেখা যাচ্ছে এবং বেচাকেনাও অনেক বেশি।
দর্শনার্থী ঘোনা বড়ডাঙ্গা এলাকার গৃহবধূ শিউলি মন্ডল ও ডুমুরিয়ার স্কুল শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামীন এ পিঠা উৎসবে এসে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। এখানে ছনের তৈরি স্টলগুলো দেখতে আরও ভাল। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নানা রকমের পিঠা খেয়ে দারুন মজা পেয়েছি।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক ননী গোপাল মন্ডলের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন সহযোগী অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক, শিল্পকলা একাডেমী খুলনা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা, কবি ফিরোজ আহমেদ, কবি সত্যরঞ্জন, বিল্পবী চারু বসু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শফিক আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন রাজিব সরকার। এরপর রাতে এক মনোজ্ঞ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দিনব্যাপী একই অনুষ্ঠান সূচীর মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসব সম্পন্ন হয়।
খুলনা গেজেটে/ এসজেড