খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৬ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  শেরপুর ও ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, এ পর্যন্ত নিহত ৭

ঘুষি মারার স্পষ্ট দাগ ছিল সুশান্ত সিংহের চোখে!

বিনোদন ডেস্ক

ময়নাতদন্তের টেবিলে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের চোখে কালো দাগ দেখেছিলেন মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গকর্মী। দেখে তার মনে হয়েছিল, অভিনেতাকে খুব জোরে চোখের ওপর ঘুষি মেরেছে কেউ।

ভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি সেই সন্দেহের কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সেদিনও কথাটা বলেছিলাম। কিন্তু যিনি ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন আমাকে। বলেছিলেন নিজের কাজে মন দিতে।’

কুপার হাসপাতালের ওই মর্গকর্মীর নাম রূপকুমার শাহ। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তের ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতাল যে দলটি তৈরি করেছিল, তার সদস্য ছিলেন তিনি। তবে কে ওই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তা আজ আর তার মনে নেই। ময়নাতদন্তের পর তাকে সুশান্তের চোখের কালশিটের কথা জানিয়েছিলেন রূপকুমার। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ওর হাড়েও চোট ছিল। ভেঙে গিয়েছিল হাড়। বোঝা যাচ্ছিল অত্যন্ত জোরে আঘাত করা হয়েছে তাকে। কিন্তু আমার সিনিয়রকে সে কথা জানালেও তিনি আমার কথায় গুরুত্ব দেননি।’

অভিনেতা সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি এখনও। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও সুশান্তের ভক্ত থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। যার সন্তোষজনক সমাধান আজও হয়নি বলেই মনে করেন অভিনেতার ভক্তরা।

সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনেতাকে দেখে এবং পরীক্ষা করে তার মনে হয়নি সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। বরং খুনের তত্ত্বের সপক্ষে একাধিক প্রমাণ পেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারে সেই দাবি আরও স্পষ্ট করেছেন রূপকুমার। তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তের গলায় রশির দাগটিও রশিতে ঝুলে পড়ার জন্য হয়েছে বলে মনে হয়নি তার। বরং ওই দাগ দেখে তার মনে হয়েছিল, সুশান্তকে গলায় কেউ রশি পেঁচিয়ে ধরেছিল। তার থেকেই ওই দাগ হয়েছে।

কিন্তু সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে ২০২০ সালে। এখন ২০২২ শেষের পথে। এতদিন মুখ বন্ধ করেছিলেন কেন? প্রশ্ন করা হয়েছিল রূপকুমারকে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আগের রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস ছিল না। তাই কথা বলিনি। কিন্তু এখন আমি আমার বয়ান রেকর্ড করাতে রাজি আছি। এখন আর আমি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবি না। বরং চাই, সুশান্ত সিংহ রাজপুত সুবিচার পান।’

সূত্র : আনন্দবাজার




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!