রংপুর সদরের ৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে বিজির গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুকরুল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গাড়ির চালক ওয়াহিদুর রহমান জানান, সন্ধ্যার দিকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি, একটি পুলিশের ও তার ভাড়া গাড়িতে করে ১১জন বিজিবি সদস্য শহরে কন্ট্রোল রুমে ফিরছিল। এসময় ৪নং ওয়ার্ডের কুকরুল নামক স্থানে সেই বহর লক্ষকরে ইট নিক্ষেপ শুরু করে কে বা কারা। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের গাড়ি নিরাপদে সরে গেলেও বিজিবির গাড়িটি জ্যামে আটকা পড়ে। এসময় গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ভয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে গেলে আগুন দেয়া হয় ওই গাড়িতে। এতে গাড়িটি পুড়ে গেছে।
পুলিশ জানায়, আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষ করে চলে যায় প্রশাসন। ওই কেন্দ্রে রফিকুল ইসলাম নামে এক কমিশনার প্রার্থী প্রথম হন। কিছুক্ষণ পর খবর আসে রফিকুল হেরে গেছেন। এই খবরে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসন বলেন, একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন ওই হামলার সঙ্গে জড়িত। এখন পুরো বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে আমাদর কেউ মিসিং আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।