পুলিশ পরিচয়ে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আসামিরা নিজেদের কৃতকর্মের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো আদালত।
জবানবন্দি প্রদান করা আসামিরা হল, বেল্লাল, আজিজুর মোড়ল ও নাহিদ মুন্সি। অপর আসামি রাসেল মোড়ল আদালতে কোন স্বীকারোক্তি প্রদান করেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ তপন কুমার সিংহ বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় দিকে ফুলবাড়িগেট এলাকার এক দম্পতি হাটতে আড়ংঘাটা বাইপাস সড়কের দিকে যায়।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই দম্পতি বাইপাস হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুক্ষণ পরে আড়ংঘাটা থানাধীন মোড়লপাড়া এলাকায় পৌছালে চারজন দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে নিজেদের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে বেল্লালের বাড়ির ছাদে নিয়ে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময়ে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাসেল নামের অপর আসামি। পরে র্যাবের সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর রাতে বেল্লালের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ৯(৩) ও পর্ণোগ্রাফী আইনের ৮(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিম নিজেই।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিলে যে তাদের সাথে যেতে হবে এটা কোন কথা নয়। তাদেরতো আর পুলিশের মতো দেখা যায় না। তারা সেদিন কেন চিৎকার করেনি। তদন্ত হচ্ছে পরে বলা যাবে ঘটনাটি। ভিকটিমের স্বামী একজন দিন মজুর, কেন সেদিন সন্ধ্যায় তারা বাইপাস সড়কে ঘুরতে গেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা কোন উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ভিকটিম ওই নারীর পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে। ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের ডাকা হচ্ছে, তাদের স্বাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড