খুলনার পাইকগাছায় কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ইটের সোলিং রাস্তার দু’পাশে মাটি ভরাট করা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির বারুইডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য বদরুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার শিকার বদরুলসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি অর্থ বছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের ৮ নং বারুইডাঙ্গা এলাকায় ইটের সোলিং রাস্তার দু’পাশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকালে প্রকল্পের ২০ জন শ্রমিক সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করছিল। একপর্যায়ে স্থানীয় নিহাল মোড়লের বাড়ি সংলগ্ন পৌঁছালে রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটার সময় তার ছেলে আ: সালাম শ্রমিকদের সেখান থেকে মাটি কাটতে বাঁধা দেয়। এসময় সালাম ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদরুলকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। সকাল ৯টার দিকে ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরকারি সীমানার মধ্য থেকে মাটি কাটার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে সালাম তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি ইউপি সদস্যের বুকে লাথি মেরে হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এসময় বদরুল ঠেকাতে গেলে তার মুখ ও হাতের আঙ্গুল কেটে রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সালাম জানান, বাড়ির সামনের নিচু জায়গা থেকে মাটি কেটে রাস্তার পাশে দিতে শ্রমিকদের নিষেধ করার কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই জমি সরকারি দাবি করে মাটি কেটে রাস্তায় দেওয়ার কথা জানালে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ওই ইউপি সদস্যের লোকজন ও শ্রমিকরা মিলে তাকে মারপিট করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সৃষ্ট ঘটনায় ইউপি সদস্যকে মারপিট করলে উত্তেজিত শ্রমিকরাও সালামকে মারপিট করে। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।