কখন যে জীবন নদীর স্রোতে তরঙ্গিত বায়ু প্রবাহ, বাতাসের
হিল্লোল। জানে না কেউ কখন যে অন্ধকার ঘুচে আসবে
সৌন্দর্য-সুখের সুপ্রভাত।
জানে না সবে ভাসমান মানুষের বস্তির জীবনের কতো
অসহায়ত্ব। কতদূর কায়ক্লেশ, জীবন-যাতনা বিষাদ।
জানে না কেউ আগে, কি করে এতো কীর্তি, যশ
সুনামভরা ভবিষ্যত। – শান-শওকত।
স্রষ্টার কতো সৃষ্টির অপার মহিমা সৃষ্টিজগত!
আলোর দিগন্তে-নতুন শপথ, এ শান্তির পথ।
জানে না কেউ কখন জ্বলবে আকাশ দিগন্তে ঝলমল
লাল সবুজের রঙধনু রঙ, মিটিমিটি
তারা। সকলই অপূর্ব রহস্যে ঘেরা।
প্রকৃতি প্রেমে কতো পথিক, বরফগলা হিমালয় কাঞ্চনজঙ্ঘায়
আনন্দে মাতোয়ারা। ঊষায় নব পশরা।
জোয়ার ভাটার মতো জীবন চলে, বিবর্তনে এতো কাল
– এতো সময়। ষড়ঋতুর বেড়াজালে, তাল
তমালে, আম্রবনে বিমুগ্ধ হৃদয়।
সদাসাগর মোহনায় – খরস্রোত। জীবনের শতো সংগ্রামে
কামনা – বাসনায় ঐশ্বৰ্য্যালোকে, সফল সমাপ্তিতে
– কতো যে আনন্দ-সুখ!