আওয়ামী শাসনের ১৪ বছরে দেশে নারী নির্যাতন, লাঞ্ছনা ও ধর্ষণের নজিরবিহীন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের লুটেরা অর্থনীতি মূল্যস্ফীতিকে এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিতে নারীরা হিমসিম খাচ্ছেন। ব্যর্থ, অযোগ্য, সরকারকে হঠাতে ১০ ডিসেম্বর খুলনা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখাবে। সেজন্য মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা মহিলা দলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট তছলিমা খাতুন ছন্দা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু। সিনিয়র সহ সভাপতি শাহানাজ ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক সেতারা সুলতানা।
শফিকুল আলম মনা বলেন, এই সরকারের মন্ত্রী এমপি ও নেতারা দেশের সম্পদ লুটে বিদেশে পাচার করে সেখানে বেগমপাড়া গড়ছে। আর আমাদের দেশের কোটি কোটি নারী চরম অর্থ সংকটে তাদের পরিবার পরিজনের ভবিষ্যত চিন্তায় নির্ঘুম রাত পার করছে। নারীরা কোলের সন্তান বিক্রি করছে, অবুঝ শিশুর মুখে বিষ তুলে দিয়ে নিজেরা গলায় দড়ি দিচ্ছে। চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপিয়ে পড়ছে। ইডেন কলেজে মেধাবী ছাত্রীদেরকে আওয়ামী নেতাদের মনোরঞ্জনে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারের পতন ছ্ড়াা মানুষের মুক্তি নেই দাবি করে তিনি চলমান আন্দোলনে নারীদের সম্পৃক্ত ও সক্রিয় হওয়ার আহবান জানান।
কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন নাসিমা আক্তার পলি, সুজানা জলি, মুন্নি বেগম, মাহমুদা লাকি, রিনা পারভীন, পারুল বেগম, কৌশল্যা রায়, লক্ষী গোলদার, অ্যাডভোকেট ফারহানা ইয়াসমীন শিউলী, অ্যাডভোকেট তাহেরা নাজমা মিতু, এ্যাডভোকেট সাবিনা ইয়াসমীন, অ্যাডভোকেট মাহমুদা সজী, পলি মেম্বার, শিখা, জান্নাতুল ফেরদৌস, কানিজ ফাতেমা নুপুর প্রমুখ। কর্মী সভা থেকে প্রতিটি থানায় মহিলা দলের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভার শুরুতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা, আহত ও অসুস্থদের সুস্থতা চেয়ে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দল নেতা মাওলানা ফারুক হোসাইন।