পুলিশের বাঁধার মধ্য দিয়ে শোক র্যালি কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা।
ভোলার নুরে আলম ও আব্দুর রহিমসহ পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে এই শোক র্যালীর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে রেল স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেন। সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ নেতাকর্মীদের তাড়া করে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশের তীব্র বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ফেরীঘাট, ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস মোড়, থানার মোড় হয়ে কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে আসে।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, শোক র্যালীর মতো নিরীহ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে পুলিশ তার চাকরি বিধি লঙ্ঘন করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা সংক্ষুব্ধ হয়েছে, কিন্ত তারা সহিংস হয়নি। বাঁধার ব্যারিকেড ভেঙ্গে এই নগরীতে বিশাল মিছিল করেছে। দেশনেত্রীকে মুক্ত না করে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা আর ঘরে ফিরে যাবনা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, জেলা যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।
কর্মসূচিতে অংশ নেন খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, এস এ রহমান বাবুল, কাজী মাহমুদ আলী, আব্দুর রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, খাযরুল ইসলাম খান জনি, ওয়াহিদুর রহমান দীপু,
বেগ তানভিরুল আযম, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখী, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুুরশিদ কামাল, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, শেখ আসগর আলী, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মোঃ হাফিজুর রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, এহতেশামুল হক শাওন, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, একরামুল কবির মিল্টন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, হাসানউল্লাহ বুলবুল, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামালউদ্দিন, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু,
আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসারউদ্দিন, হাসনাত রিজভী মার্শাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সরদার আব্দুল মালেক, আনসার আলী, রাহাত আলী লাচ্চু, নাসির খান, আব্দুস সালাম, মনির হাসান টিটো, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহমান ডিনো, ফারুক হোসেন হিল্টন, তারিকুল ইসলাম, দিদারুল হোসেন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ জাহিদুল হোসেন জাহিদ, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা,
যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, ছাত্রদলের গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ^াস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, শফিকুল ইসলাম শাহিন, ইউসুফ মোল্লা, মহিলা দলের এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, মোল্লা কবির হোসেন, শেখ আবু সাঈদ, শ্রমিক দলের খান ইসমাইল হোসেন, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, নুরুজ্জামান নিশাত, আজাদ আবুল কালাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই