‘প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ওয়াসা পানি সরবরাহে মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু এতে পর্যাপ্ত সেবা মিলছে না। আমি কাউন্সিলর হয়েও আবেদন করেও বাড়িতে সংযোগ পাইনি। ওয়ার্ডের বস্তি এলাকার অবস্থা তা আরো খারাপ।’ নগরীর পানি সংকট ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে এভাবেই বলেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৫ নম্বর কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার কারিতাস মিলনায়নে কেসিসির প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের নিরাপদ পানির দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে একই সূরে কথা বলেন কেসিসির ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামছুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স। তিনি বলেন, ওয়াসা আমার বাড়ির সামনে পর্যন্ত পাইপ নিয়েছে, কিন্তু সংযোগ এখনও দেয়নি। আমি তখন বিষয়টি তাদের জানালে তারা বলেছিল দিবে। পরবর্তীতে বলে প্রথম পর্যায়ে কাজ শেষ, দ্বিতীয় পর্যায়ে দিবে। এরপর করোনা শুরু হয়, এখনও সংযোগ দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমাদের আন্দোলনের ফসল খুলনা ওয়াসা। ভেবেছিলাম তারা যথাযথ সেবা প্রদান করবে। কিন্তু এখন সেই সেবা পাচ্ছে না নগরবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, খুলনা ওয়াসা সেবা প্রদান নয়, বাণিজ্য করছে। সেবার মান না বাড়লেও ইউনিট প্রতি পানির দাম বাড়িয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পানি সংকট নিরসনে বস্তি এলাকার ঘরে ঘরে পানি সংযোগ প্রদান, কমিউনিটি ট্যাপ স্থাপন, নষ্ট টিউবওয়েলগুলো সংস্কার, পানির এটিএম বুধ স্থাপন, নিয়মিত পানি ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানানো হয়।
নগরীর ৫ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে নাগরিক সগঠন সিএস নেটওয়ার্ক, শুভশক্তি ও যুব সমাজ যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নগরীতে পানির অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। বস্তি এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। তারা পানি কিনে ব্যবহার করতে পারছেন না। এতে নারী-শিশুসহ নানা বয়সীদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে। রোগ-শোকে তাদের কর্মক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থায় পানি সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, কেডিএ কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পানির সংযোগ আইন সিথিল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নাগরিক নেতা মিনা আজিজুর রহমান, উন্নয়নকর্মী মেহেদী হাসান, নাজমুল আযম ডেভিড, আবু শাহীন, ঝর্ণা আক্তার বৃষ্টি, শরিফ শাকিল বিন আলম প্রমুখ।