প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ভৈরব সেতু এই এলাকার মানুষের বহুদিনের আকাঙ্খা পূরণ করতে চলেছে। ভৈরব নদীর এপারের লোকজনের জীবন-জীবিকা হল দৌলতপুর এবং খুলনার সাথে সম্পৃক্ত। এলাকার মানুষের যাতায়াতের দীর্ঘদিনের অসুবিধা ছিলো। প্রধানমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী এবং পরিকল্পনা কমিশনের সহানুভূতির না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।
ড. মসিউর রহমান আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তের জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের মুঠোফোনে সম্পৃক্ত হয়ে এলাকাবাসী, প্রশাসন এবং সেতুর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে তাঁর এ অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ভৈরব সেতুর একটা বিশেষ গুরুত্ব আছে। কারণ সেতুটি যেখানে হচ্ছে তার কয়েক শ’ গজ দূরে একটা গোডাউন আছে, যেটার মূল মালিক ছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। উত্তরাধিকারসূত্রে এই জমির মালিক শেখ হাসিনা। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এই সিস্যুয়েশন কিন্ত আমরা কোন সেতুতে পাবো না। এটা মনে রাখতে হবে এই ব্রিজটি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারবর্গের স্মৃতি বহন করছে। এই স্মৃতিকে আমরা সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
ড. মসিউর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি যাওয়ার সময় রেলমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছিলাম, উনি যদি একবার খুলনায় আসতেন তাহলে রেলের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে যে অসুবিধা হচ্ছে আশা করি সেটা দূর হবে এবং সেতুটির কাজ দ্রুত হবে।
স্থানীয় লোকের সহানুভূতি, স্থানীয় নেতৃত্ব, প্রশাসনের সহানুভূতি এবং উদ্যোগ যদি না থাকতো তাহলে এককভাবে এ সেতু করা কারোর পক্ষে সম্ভব হতো না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই একটা বড় কাজ হলো যার উপকার এই এলাকার মানুষ ভোগ করবে। এর সাথে আমরা যারা বৃদ্ধ আছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যারা আছেন তারা সবাই মনে এটা রাখবেন। সেতুর জন্য এলাকার মানুষ যারা জমি দিয়েছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গতঃ ভৈরব সেতুর প্রস্তাবনা তৈরীসহ সেতুর কাজের অগ্রগতি এ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার পেছনের ক্রীড়ানক হিসেবে যিনি কাজ করে চলেছেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ছিলেন। ছিলেন একজন দক্ষ আমলা।
ড. মসিউর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের সুগন্ধী গ্রামে।
খুলনা গেজেট/ টি আই