খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানে ১৮ কোটি মানুষের মর্যাদা। তাঁর স্বদেশ প্রেম ও পিতার আদর্শই তাঁকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, পিতার আদর্শ নিয়ে শেখ হাসিনা রাজনীতিতে আসেন। সেই সুবাদেই স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ জীবনে ছাত্র সংসদের ভিপি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের জেনারেল সেক্রেটরি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর এ বর্ণাঢ্য ছাত্র রাজনীতি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসতে সহায়তা করেছে। যার ফলে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে সারাদেশে দলকে সুসংগঠিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার এবং খালেদা নিজামী বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে ১৯৯৬ সালে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর সুদক্ষতায় ‘৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। এসময় কাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে আছে। ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার গঠন করে দেশকে আবার পিছিয়ে নেয়। এমনই পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলার জনগণ ভোট দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে। সেই থেকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত বিশ্বে দিকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
বুধবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরীনা রহমান বিউটি, যুব মহিলা লীগ নেত্রী এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বিএম এ সালাম, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র, মো. রফিকুর রহমান রিপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, কামরুজ্জামান জামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আলমগীর কবীর, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এম এ রিয়াজ কচি, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীল আলম, মোজাফফর মোল্লা, মোখলেসুর রহমান বাবলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, সায়েদুজ্জামান সম্্রাট, খাইরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ শেখ, মো. মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, অসিত বরণ বিশ্বাস, তরিকুল আলম খান, শিউলি সারোয়ার, অমিয় অধিকারী, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, এস এম আকিল উদ্দিন, জামিল খান, অধ্যা. আশরাফুজ্জামান বাবুল, হোসনে আরা চম্পা, নাজনিন নাহার কণা, রনজিত কুমার ঘোষ, মানিকুজ্জামান অশোক, শেখ মো. আবু হানিফ, মো. শফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাদল সরদার বাবুল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদ হোসেন, মো. জাহিদুল হক, চ. ম মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ মো. আব্দুল আজিজ, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, শেখ এশারুল হক, মো. আজম খান, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. শিহাব উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ইউসুফ আলী খান, মো. জাকির হোসেন, মো. মোতালেব মিয়া, মীর মো. লিটন, সরদার আব্দুল হালিম, শেখ মো. রুহুল আমিন, মো. সেলিম মুন্সিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে কেককাটা হয়।