খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা হয়েছে। ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের (ডিএসএ) দপ্তর ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন বাঁধন এর আয়োজনে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টায় শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন ঘুরে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপচার্য বলেন, মাদক হচ্ছে সভ্যতার অন্তরায়। নানা রকম হতাশা, এডভেঞ্চার থেকে মাদকাসক্ত হয়। মাদক একটি দেশের তরুণ-যুবসমাজকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের উন্নতি-অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিতে পারে। এজন্য সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাদকমুক্ত রাখতে ইতোমধ্যে একটি মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের প্রাক্কালে তাদেরকে ডোপ টেস্টের প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। গঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
উপাচার্য বলেন, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক দপ্তর ও রক্তদাতা বাঁধন এর এই শোভাযাত্রা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাদের এই কর্মসূচি আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। এক্ষেত্রে তিনি সব ছাত্র সংগঠনকে এভাবে এগিয়ে এসে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাঁধন এর সভাপতি ডানা শিকদার। ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংগঠনের সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে তাঁর দপ্তর থেকে কোনো প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে না। বাঁধনের সভাপতি পঠিত ইশতেহারে উল্লেখ করেন যে, মাদক সংশ্লিষ্টতা থাকলে কেউ এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না, কারও বিরুদ্ধে মাদকে জড়ানোর প্রমাণ পেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড