যশোরে আইনজীবী রুহিন বালুজের মোবাইল ফোনসেটের ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত কথোপকথোনের স্ক্রিন প্রিন্ট নিয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ইসলামুল হক নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইসলামুল হক নড়াইল সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামের খবির হোসেন ফকিরের ছেলে।
অ্যাডভোকেট রুহনি বালুজ মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত ১২ এপ্রিল তিনি আসামির বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করিয়ে দেন। ২৭ জুন এ মামলার হাজিরার তারিখ নির্ধারণ হয়। কিন্তু তার আগে আসামি ইসলামুল হক ২৯ মে দুপুরে তার চেম্বারে আসেন এবং বলেন স্ত্রীর সাথে সংসার করবেন। মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। এরপর তার নাবালিকা মেয়ের সাথে অন্য সহযোগিকে বসিয়ে তার সাথে একটি ছবি তোলেন। ওই ছবি তার নিজের মোবাইলে নেয়ার জন্য ফোনসেট চাইলে তিনি সেট দেন।
পরে তিনি বাইরে যান। বাইরে থেকে এসে দেখেন তার মোবাইলের ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে একজনের সাথে কথোপকথোনের স্ক্রিন প্রিন্ট নিজের মোবাইল ফোনে নিয়ে নিয়েছেন। পরে ভয় দেখান ওই স্ক্রিন প্রিন্ট দেখিয়ে তার মান সম্মানের হানি ঘটাবেন। তার মামলায় জামিন নিতে দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ জন্য তিনি দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে খুন জখম করা হবে বলে হুমকি দেন। এ মামলায় পুলিশ আসামি ইসলামুল হককে বুধবার সকালে আটক করে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ বলেন, কারও ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ব্যতিত কৌশলে গ্রহণ করলে সেটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় অপরাধ ও মামলা হবে। আইনজীবী ও মক্কেলের কোনো কথপোকথন প্রকাশ করা সাক্ষ্য আইনের ১২৬ ধারায় নিষেধ রয়েছে। ফলে সে অপরাধ করায় তিনি এ মামলা করেছেন।