২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের ৮ম দিনে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ্যাড. আজহারুল ইসলাম। আগামী ১৭ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। আদালতের কাঠগড়ায় এসময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী ঢাকা সুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশানের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদিন জানান, একই স্বাক্ষীতে ২টা মামলা চলতে পারেনা। হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে এই মামলায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবী।
সাতক্ষীরা আদালতের সরকারি আইনজীবী (পিপি)আব্দুল লতিফ বলেন, এ পর্যন্ত ১১ জন আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।