সাতক্ষীরায় ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল আজিজকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত । রোবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক জনাকীর্ণ আদালতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় আসামি হাজির ছিল না।
আব্দুল আজিজ সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার এন্তাজ সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহরুল হায়দার বাবু জানান, দীর্ঘ ২৪ বছর পরে আসামীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। রাস্ট্রপক্ষ এ আদেশে খুশি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দাবিকৃত যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী সাতক্ষীরার সুলতানপুরের আব্দুল আজিজ। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী সরদার বাদি হয়ে ঘটনার পরের দিন আব্দুল আজিজ, তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালে আসামী আব্দুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক)। ধারায় অভিযোগ গঠণ করা হয়। পরবর্তীতে আসামী রুহুল কুদ্দুস মারা যান। আসামী আজগার আলীও পলাতক থাকেন।
মামলার নথি, ১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামী আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এমজি আযম তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।