জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের ডাকা ২৬ নভেম্বরের কাউন্সিল সফল করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন তৎপর হয়েছে। তারা দলীয় কর্মীদেরকে গঠনতন্ত্রের ২০ ‘এর ১ ধারা অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে কর্মীদের অবগত করেছে। এই অংশ খুলনায় সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাল্টা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
বেগম রওশন এরশাদ ব্যাংকক থেকে তার অনুসারীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। স্থানীয় পর্যায়ের তার সমর্থকরা দলছুট নেতাদের সংগঠিত করছেন। গত বুধবার রওশন পন্থীরা মোটরসাইকেল যোগে দলীয় কার্যালয় দখলের মহড়া দেয়। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাসের অনুরোধে তাদের এ অভিযান স্থগিত হয়।
রওশন এরশাদের সমর্থকরা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলনে তারা সম্পৃক্ত হতে চান না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ও নির্বাচন করতে তাদের ঘোরতর আপত্তি।
জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য রওশন এরশাদ সর্মথক বলে পরিচিত এ্যাডঃ এস.এম.মাসুদুর রহমান বলেছেন, দলের ত্যাগের নেতাকর্মীরা ২৬ নভেম্বর কাউন্সিলকে সমর্থন দিচ্ছে। এরশাদের মুক্তির আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্তদের দায়িত্বশীল পদে আনা হবে। তিনি বলেন, চেষ্টা চলছে মহানগরীর শাখায় সভাপতি হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাসকে সভাপতি ও মোল্লা শওকত হোসেন বাবুলকে সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে.এম মোক্তার হোসেন অথবা পাইকগাছার মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরকে সভাপতি ও এ্যাডঃ এস.এম. মাসুদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অপর দিকে নগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এ্যাডঃ মোহাম্মদ মাহতাবউদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের প্রতি আস্থাশীল। তিনি তথ্য দিয়েছেন খুলনা নগরীর সকল থানা শাখা রওশন এরশাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের পিপি ও জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন খুলনার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।