খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইনজীবী আলিফ হত্যা : ভিডিও দেখে শনাক্ত ১৩ জন, গ্রেপ্তার ৭

বিএমএ’তে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ’লীগ সমর্থিত চিকিৎকদের দুই প্যানেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার নির্বাচন। দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে উৎসব বিরাজ করছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসক পাড়ায়।

তবে ৭ বছর পরে হলেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। ফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা দুটি প্যানেলে ভাগ হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। ২৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৯ জন প্রার্থী। ১৫ সেপ্টেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএমএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিএমএ’র সবশেষ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। অবশেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে বৈঠক করে তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। এতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যায়।

এবারের নির্বাচনে পদে বিএমএর বর্তমান সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ পৃথক দুটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ডা. বাহারুল আলমের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন তরুণ চিকিৎসক নেতা ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ। অন্যদিকে ডা. মেহেদী নেওয়াজের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন ডা. কাজী হামিদ আসগর। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠনের স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

ডা. বাহাররুল আলম-ডা. তরুণ পরিষদ এবং ডা. হামিদ আসগর – ডা. মেহেদী নেওয়াজ পরিষদে ২৪ টি পদে ৪৮ জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে এ দুটি পরিষদের বাইরে গিয়ে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন ডা. মামুনুর রশীদ। অর্থ্যাৎ নির্বাচনে ২৪টি পদে মোট প্রার্থী ৪৯ জন।

ডা. কাজী হামিদ আসগর-ডা. মেহেদী নেওয়াজ পরিষদের প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে ডা. কাজী হামিদ আসগর, সহ-সভাপতি পদে ডা. গাজী মিজানুর রহমান, ডা. সামসুল আহসান মাসুম ও ডা. মোল্লা হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. কুতুব উদ্দিন মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ডা. বঙ্গ কমল বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ডা. ইউনুচ উজ জামান খান তারিম, দপ্তর সম্পাদক পদে ডা. এস এম তুষার আলম, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক পদে ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. উৎপল কুমার চন্দ, সংস্কৃতি ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. শহিদুল ইসলাম মুকুল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ডা. মুহিবুল হাসান লিংকন, প্রকাশনা ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ডা. পলাশ কুমার দে প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া এই পরিষদে কার্যকরী সদস্য পদে ডা. পরিতোষ কুমার চৌধুরী, ডা. ডলি হালদার, ডা. প্রিতিশ তরফদার, ডা. পার্থ প্রতীম দেবনাথ, ডা. প্রকাশ দেবনাথ, ডা. চম্পক, ডা. কাজী আবু রাশেদ, ডা. রকিব, ডা. ফিরোজ ও ডা. মেহেদী হাসান সৈকত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ডা. বাহার-ডা. তরুণ পরিষদের প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, সহ-সভাপতি পদে ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ, ডা. দিদারুল আলম শাহীন ও ডা. সুফিয়ান রুস্তম, সাধারণ সম্পাদক পদে ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ডা. সুমন রায়, দপ্তর সম্পাদক পদে ডা. অনল রায়, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক পদে ডা. সাইফুল্লাহ মানসুর, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. দেবনাথ তালুকদার রনি, সংস্কৃতি ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. সোহানা সেলিম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ডা. ফিরোজ হাসান, প্রকাশনা ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ডা. বাপ্পারাজ দত্ত প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে ডা. ধীরাজ মোহন বিশ্বাস, ডা. হিমেল সাহা, ডা. নিরুপম মন্ডল, ডা. কমলেশ সাহা, ডা. উপানন্দ রায়, ডা. মিথুন পাল, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. ফয়সাল আহমেদ, ডা. প্রিতম স্বাক্ষর ও ডা. আওরঙ্গজেব প্রিন্স প্রার্থী হয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ হিমালয়/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!