অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি) ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে এই আবেদন পাঠানো হয়।
আবেদনে শিক্ষক সমিতি উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০২০ সালে ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু গত ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ আদেশ বাতিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে যে, নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৩ জন শিক্ষকের (৭ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৬৬ জন প্রভাষক) সিলেকশন বোর্ড বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে গঠন করা হয়েছিল।
আবেদনে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫ মতে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত বিধানের উল্লেখ নেই। কাজেই ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ রাখার সুপারিশটি খুকৃবি আইনের পরিপন্থী।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই নির্দেশনার পর থেকে খুকৃবির অধিকাংশ শিক্ষকই মানসিক যন্ত্রনাকাতর সময় অতিবাহিত করছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম খুব শিগগিরই স্থবির হয়ে যেতে পারে।
খুলনা গেজেট/ এইচ