বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে কুইক লুটপাটের মাধ্যমে ৭০ হাজার কোটি টাকা লুৎপাট করে বিদ্যুতের বিপর্যয় ঘটিয়েছে। শেয়ার বাজার ও ব্যাংক তহবিল তসরুপ করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জ্বালানি তেলে ৫২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করার পরও তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে দেশে নিরব দূর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। আওয়ামীলীগকে দলীয় নির্বাচন কমিশন দিয়ে ইভিএম এর মাধ্যমে ডিজিটাল ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত শুক্রবার বিকালে ফুলতলা এম এম কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম সরদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু। উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনির হাসান টিটোর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কওছার আলী জমাদ্দার, খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এস এ রহমান বাবুল, সদস্য শেখ আবুল বাশার, হাসনাত রেজভী মার্শাল, ওয়াহিদুজ্জামান নান্না, শেখ আঃ সালাম, আনোয়ার হোসেন বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাব্বির হোসেন রানা, যুবদল নেতা সৈয়দ আল শাকিল, কামরান হাসান, জামাল হোসেন ভুইয়া, মোতাহার হোসেন কিরণ, ইদ্রিস আলী মোল্যা, রবিউল ইসলাম, আলামিন সানা প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করায় পুলিশই এখন ইমেজ সংকটে পড়েছে। বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিবৃত্ত করতে লাঠি চার্জ করায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৩ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অপরদিকে ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়ে নূরে আলম ও আব্দুর রহিমকে হত্যা করার পরও পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে সরকার পুলিশকে বিতর্কিত করে ফেলেছে।
ফুলতলা বাজার থেকে প্রায় ৩ শ’ মিটার দুরে দীর্ঘদিন পরে ফুলতলা এম এম কলেজ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পায় উপজেলা বিএনপি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে তারা একত্রিত হন। কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সন্ধ্যার আগেই সমাবেশ শেষ হয়।