নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী জেলাবাসীর নাগালের মধ্যে রাখার জন্য মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জেলা প্রশাসন গুরুত্বারোপ করেছেন। মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশনার আলোকে নিয়মিত প্রয়োজনীয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নগরীর বাজারে মোটা চাল সর্বনি¤œ ৪৫ টাকা, চিকন চাল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তথ্য জেলা প্রশাসনের।
গত সপ্তাহে কালেক্টরেট ভবনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থাপন করা হয়, গত সপ্তাহে স্থানীয় বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা, মাঝারি ৫৬-৬০ টাকা, চিকন ৬৬-৭০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৫০-৫২ টাকা, মসুরের ডাল দেশী ১২৫-১৩০ টাকা, আমদানীকৃত ৯৫-১০০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮০-১৮২ টাকা, পেঁয়াজ দেশী ৪০-৪৫টাকা, পেঁয়াজ আমদানীকৃত ৩৪-৩৬ টাকা, লবন ৩০-৩৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩৬-৪০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০-৬৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সভায় উল্লেখ করা হয় চাল, মসুরির ডাল, রসুন, শুকনা মরিচসহ ১৫টি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গোল আলুর মূল্য কমেছে। আমদানীকৃত মসুরের ডাল, লবনসহ ৯টি পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল।
জেলা প্রশাসক সভায় উল্লেখ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যায় সেদিকটির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সিনিয়র বিপনন কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, মহানগরীর বড় বাজারসহ অন্যান্য বাজারে বেশ কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। চিকন চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চাল স্থিতিশীল রয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম. নজরুল ইসলাম এ সভায় জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আশংকা করেন। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রস্তাব দেন।
সভায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যহীনভাবে দেশীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই