খোলা আকাশের নিচে অযত্ন অবহেলায় পড়ে রয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ টি পুরানো গাড়ি। একই স্থানে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে যেমন নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি, তেমন পাহারা না থাকায় চুরি হচ্ছে গাড়িগুলোর মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এসব গাড়ি নিলামের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া জটিল। এ ব্যাপারে একবার খুলনা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা কোন উত্তর দেয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক যুগের বেশী সময় ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্নস্থানে ফেলানো ছিল গাড়িগুলো। সর্বশেষ হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের সামনে এনে রাখা হয়েছে তা। অযত্ন ও অবহেলার কারণে গাড়িগুলোর ভেতর বিভিন্ন প্রজাতির লতা গাছ জন্ম নিয়েছে। বৃষ্টির পানি আর রোদ লেগে গাড়িগুলোতে মরিচা পড়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে টায়ারগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে।
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সহকারী রাতুল জানান, ১৫ বছর ধরে খুলনা মেডিকেলে রোগী বহনের কাজ করছেন। এক যুগের বেশী সময় ধরে গাড়িগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বছর দুই আগে বিকল হয়ে পড়ে একটি গাড়ি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে গাড়িটি আর মেরামত করা হয়নি। ফেলে রাখা হয়েছে অন্যান্য পরিত্যাক্ত গাড়ির সাথে। অযত্ন ও অবহেলার কারণে গাড়িগুলোর ভেতর বিভিন্ন প্রজাতির গাছের জন্ম হয়েছে। পাহারা অভাবে রাতের অন্ধকারে গাড়ির ভেতর থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুমেক হাসপাতালের অপর এক অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার বলেন, বছরের পর বছর গাড়িগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যথা সময়ে গাড়িগুলো বিক্রি করলে নির্ধারিত একটি মূল্য পেত। এখন এগুলোর যে অবস্থা তা ভাঙ্গাড়ি হিসেবে বিক্রি করলেও তেমন টাকা পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পরিচালক ড. মো: রবিউল হাসান বলেন, এখানে আসার আগে কর্তৃপক্ষ গাড়িগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল। এগুলো বিক্রির জন্য বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেখানকার কয়েকজন প্রকৌশলী গাড়িগুলো দেখেছেন। কিন্তু তারা কোন উত্তর দেয়নি বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।