বৃহস্পতিবার । ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নাসুমের ওভারে ৩৪ রান বার্লের

ক্রীড়া ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নাসুমের করা ১৫তম ওভারে টানা চার বলে ছক্কা হাঁকায় রায়ান বার্ল। পঞ্চম বলে চার আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৪ রান আদায় করে নেন বার্ল।

টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান খরচের দিক থেকে যৌথভাবে তৃতীয় নাসুম। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৬ রান আদায় করে নেন ভারতের যুবরাজ সিং। তার সেই রেকর্ডে ভাগ বসান ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান কায়রন পোলার্ড।

ইনিংসের প্রথম ৩ ওভারে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২৯ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করে স্বাগতিকরা। এরপর জিম্বাবুয়েকে স্পিনে কাবু করে টাইগাররা। পরের ৬.১ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় জিম্বাবুয়ের ৫ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

অঘোষিত ফাইনালে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলে ওপেনার রাগিস চাকাভাকে ফেরান বাঁ-হাতি এ স্পিনার।

নামুসের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান। তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা।

পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোসাদ্দেক হোসেনের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ৮ বলে মাত্র ২ রানে ফেরেন শন উইলিয়ামস।

১০ ওভারে বোলিংয়ে এসেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সাম্পতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে অধিনায়কত্ব হারানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দল থেকেই বাদ দেওয়া হয়। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাধ্যতামূলক বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে।

মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দলে ফিরেই উইকেট সাফল্য পান রিয়াদ। তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করেন জিম্বাবুয়ের এ ওপেনার।

ইনিংসের উদ্বোধনী ওভারে বোলিংয়ে এসে ৬ রান খরচ করেন বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ২ রানে মিল্টন শুম্বাকে ফেরান মোস্তাফিজ।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন