যশোরের শার্শায় হাত কড়াসহ পলাতক যুবক মেহেদী হাসানকে (২৬) সাত ঘণ্টা পর আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার গোগা গ্রামের গাইনপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। হাত কড়া অবস্থায় পলাতক হওয়ার পর আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন শার্শা থানার ওসি।
জানা যায়, বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আকবর ফোর্স নিয়ে উপজেলার গোগা গাইনপাড়ায় মেহেদি হাসানের বাড়িতে গতকাল সোমবার সকাল দশটার দিকে অভিযান করেন। এসময় বাড়ি থেকে মেহেদি ও তার মাসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আটক অন্যরা হলেন, মেহেদির মা রোজিনা খাতুন (৪৮), যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন (৩৫), কারবালা এলাকার ছিকুর মেয়ে ফাতেমা খাতুন (৪০), রায়পাড়া তুলোতলার কামরুলের স্ত্রী রওশন আরা (৪৫)। ঘরের ভেতর থেকে ১৩০ বোতল ফেনসিডিলও উদ্ধার হয় বলে পুলিশের দাবি। আটকের পর মেহেদিকে হাতকড়া পরানো হয়। আটক অন্য চার নারীকে নিয়ে পুলিশ যখন ব্যস্ত, সেই সুযোগে হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যায় মেহেদি।
ঘটনার পর পরই মেহেদিকে আটক করতে যশোরের এএসপি (নাভারন সার্কেল) জুয়েল ইমরান এবং শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলমের নেতৃত্বে এলাকায় পুলিশের ব্যাপক অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার আমলাই গ্রামের একটি ঘের থেকে মেহেদিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম আসামি মেহেদির হাতকড়াসহ পলায়ন ও সাত ঘণ্টা পর তাকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে শার্শা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে আটক পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর