ভারতে বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছয়জন স্কুল শিক্ষার্থী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাসের ভেতরে বেশ কয়েকজন যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে হিমাচল প্রদেশের কুলুতে ভয়াবহ এই বাস দুর্ঘটনা বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
অবশ্য আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা ৯ জন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ১০ জন।
পুলিশের সূত্র দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হিমাচল প্রদেশের কুলুতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত এই বাসটি কুলুর সাইঞ্জ যাচ্ছিল। জাংলা গ্রামের কাছে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাসটি মোড় ঘুরতে গিয়ে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
কুলুর ডেপুটি কমিশনার আশুতোষ গর্গ জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাংলা গ্রামের কাছে একটি বেসরকারি বাস খাদে পড়ে যায়। ওই সময়ে বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। জেলা কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভয়াবহ এই বাস দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। এই কঠিন সময়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের ২ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৫০ হাজার রুপি করে।’