ইনিংসের অষ্টম ওভারে উড়তে থাকা সাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ক্রিজে এসে সবে একটি বল খেলেছেন। এর পরেই আবার বৃষ্টির বাধা ডমিনিকায়। যার কারণে খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন ম্যাচ আম্পায়াররা।
শুরু থেকেই মারকুটে ভূমিকায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। ফলে পাওয়ার প্লেতে ভালো একটা সংগ্রহও পায় বাংলাদেশ।
তবে সাকিবের এই ঝড়ো ইনিংস থেমেছে ২৯ রানেই। ১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় মারকুটে এই ইনিংস খেলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের শিকার, ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন উইকেটরক্ষকের হাতে।
অষ্টম ওভারে সাকিব ফেরার পরপরই ঝমঝমিয়ে নেমেছে বৃষ্টি। ফলে ম্যাচ বন্ধ রয়েছে আপাতত। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬০ রান। নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেছেন আফিফ হোসেন। মাহমুদউল্লাহ ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। ওভারও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০ ওভারের পরিবর্তে দুই দল পাবে ১৬ ওভার করে। ফলে ব্যাটারদের মারকুটে ভূমিকায় দাঁড়ানো ছাড়া উপায় নেই। সেটি করতে গিয়েই যেন শুরুতে বিপদ ডেকে আনেন মুনিম শাহরিয়ার।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আকিল হোসেনের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়ে ফেরেন মুনিম শাহরিয়ার (২)। ২ রান তুলতেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
তবে এনামুল হক বিজয় প্রথম বলেই হাঁকান বাউন্ডারি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে সাকিবের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা এই ব্যাটার।
তবে ছোট ঝড় তুলেই থামতে হয়েছে বিজয়কে। ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে ওবেদ ম্যাকয়ের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১৮ বলে ৩৪ রানের।
তবে বিজয় আউট হলেও এই জুটিতে ভর করেই পাওয়ার প্লেতে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। ৫ ওভারে তোলে ২ উইকেটে ৪৬ রান। নয় ম্যাচ পর পাওয়ার প্লেতে ৪০-এর ওপর রান পায় টাইগাররা।
লিটন দাস শুরু থেকেই আড়ষ্ট ছিলেন। গ্যাপ বের করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলেন। রোমারিও শেফার্ডের স্লোয়ার বলে সেই শট খেলে মিডউইকেটে তুলে দেন ক্যাচ (১৪ বলে ৯)। ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।