ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদসহ ১৭ নেতা এবং অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। ঘটনার তিন দিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন তিনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ছাত্রদলের হামলায় শহীদুল্লাহ হলের আট জন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ফজলুল হক, মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের আরও অনেকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।
তিন দিন পর মামলার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে। ফৌজদারি আইনের ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৪২৭ ও ১০৯ ধারায় এই মামলা করা হয়েছে।
মামলায় যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন—ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাজিব হোসেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইরফান আহমেদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাহিনুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ছাত্রলীগ নেতার করা ওই মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে মধুর ক্যানটিন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে শহীদুল্লাহ হলে ফেরার পথে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোয়েল চত্বরসংলগ্ন কার্জন হলের সামনে রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র ছাত্রদলের ওই ১৭ নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জন বেআইনি জনতাবদ্ধে লাঠিসোঁটা, রডসহ মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করেন। এতে শহীদুল্লাহ হলের আট সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ফজলুল হক মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের আরও অনেকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।’
ছাত্রদলের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আজিজুল হক সোহেল বলেন, ‘মামলার কপি হাতে পেয়েছি। এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’