খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পুলিশের সহায়তায় আমাদের সমাবেশের ওপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ টিয়ারসেল ও গুলি করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
তিনি আজ শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আগেরদিন সংঘর্ষ হামলা ভাংচুর ও সমাবেশ পন্ড হওয়া নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।
শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র নেতাকর্মীরা নয়; তাদের হাত থেকে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা রক্ষা পায়নি। পুলিশ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের প্রধান দরজা ভেঙ্গে অফিস তছনছ করেছে, কিন্তু পরে মামলা করা হয়েছে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের নামে। দলীয় কার্যালয় থেকে দরজা ভেঙ্গে মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, ১২জন নারী নেত্রীসহ মোট ৪১জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সদস্যরা নারী নেত্রীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেছেন।
মহানগর আহবায়ক অভিযোগ করেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ যুবলীগের হেলমেট বাহিনী সদস্যরা নির্বিচারের নেতাকর্মীদের ওপর তান্ডব চালিয়ে অফিসের অনেক গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। সরকার শেষ মুহুর্তে এসে অসহিষ্ণু আচরণ করছেন, খুলনার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহবস্থানের ঐতিহ্য ছিলো। এই ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে শান্ত খুলনাকে অশান্ত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ যুবলীগের তান্ডবে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে অনেককে আটক করেছে। বুধবারের ঘটনায় ৫শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ সদস্যরাও চেয়ার ভাঙচুর করেছে যা ভিডিও ফুটেজে প্রমাণ আছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তিসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের চিহ্নিত হেলমেট বাহিনী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহির ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম বাপ্পি, কাজী মো. রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, রুবায়েত হোসেন বাবু, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, নিঘাত সীমা প্রমূখ।