খুলনায় পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগে গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
সোমবার (১৬ মে) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “সারাদেশে গত এক যুগে যে ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টি হয়েছে, গণতন্ত্রকে যেভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের অধিকারগুলোকে যেভাবে কেড়ে নিয়েছে এবং মানুষের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতনও নজিরবিহীন। সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকার বাংলাদেশে একটা নারকীয় অবস্থার তৈরি করে ফেলেছে। আইনের রক্ষকদের কাছেও সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “গত বছর ১৪ মে ভারত থেকে খুলনায় এসে কোয়ারেন্টিনে থাকা তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এএসআই মোকলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে। একই বছর ৮ ডিসেম্বর নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে মেয়ের সামনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম। সর্বশেষ ১৫ মে রবিবার কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে দেশপরিচালনায় বর্তমান সরকার কতটা ব্যর্থ এবং পুলিশের নৈতিক অবক্ষয়ের।”
বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ, দেশের প্রধান অসামরিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতি এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ দেশ সেবার ব্রত নিয়ে সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার কথা। সত্যিকার অর্থে একজন পুলিশ সদস্য দেশ সেবার পাশাপাশি জনগনের প্রকৃত বন্ধু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ পুলিশের নাম শুনলে আঁতকে উঠেন, ভয়ে তঠস্থ্য থাকেন, পুলিশ ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এদের কাছে বিচারের দাবি জানাতে গেলে ধর্ষনের শিকার হতে হয়।”
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদকে গ্রেফতার ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি ও পুলিশকে জনগনের বন্ধু হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির প্রমূখ।