হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) ভারতে আটক করার কোনো তথ্য বাংলাদেশে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশে ওয়ারেন্টেড ব্যক্তি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরেই তাকে চাচ্ছিলাম। সে গ্রেপ্তার হয়েছে, তবে আমাদের কাছে এখনও অফিসিয়ালি কিছু (তথ্য) আসেনি। আমাদের যতো কাজ আমরা আইনগতভাবে করব।
গতকাল শনিবার ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। এ বিষয়ে অমি ডিটেইল জানি না। কিছু পত্রপত্রিকায় গ্রেপ্তারের খবর দেখলাম। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে ভালো হয়। ওনারা আমাদের জানালে যা যা করার দরকার সেটা আমরা করব।’
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।