ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: মোজাহারুল ইসলামের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাত জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। আগামী ১৩ মে (শুক্রবার) খুলনার উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হবে। ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম-শার্লী ইসলাম ফাউন্ডেশন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দিচ্ছে।
১৩ মে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রফিকুন নবী (রনবী)। ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম-শার্লী ইসলাম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলা ও ইতিহাস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক বুলবন ওসমান। স্মারক বক্তৃতার বিষয় ‘আমাদের চারুকলা ও দেশপ্রেম’। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেবেন ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম-শার্লী ইসলাম ফাউন্ডেশনের সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিক আহমেদ।
যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও খুলনার কৃতি সন্তান ড. মো. মোজাহারুল ইসলামের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মারক বক্তৃতা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরে সাতজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম-শার্লী ইসলাম ফাউন্ডেশন।
যারা এ বৃত্তি পাচ্ছেন তাদের মধ্যে আছেন, খুলনার রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. আছাফুর রহমান, খুলনার হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মিরাজ হোসেন, করিমুন্নেছা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী হাজেরা আক্তার খাদিজা, খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নাহিয়ার নূর, পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. রাসেল, খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী মো. নাইমুল ইসলাম এবং দৌলতপুর মুহসীন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মারুফা।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক ও জ্ঞানের একনিষ্ঠ সাধক। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩ এপ্রিল তিনি ক্যামব্রিজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সেদিন নিজ বাসভবন থেকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য যাচ্ছিলেন, ঠিক তখন সেন্ট জনস কলেজের সামনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম কম্পিউটারটি তিনি নিজেই পরিচালনা করতেন। তার পরিচালিত কম্পিউটারটি বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম শিক্ষকতা জীবনের অর্জিত অর্থের সঞ্চয় থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর প্রয়াত স্ত্রী শার্লী ইসলামের স্মরণে লাইব্রেরি নির্মাণে প্রায় কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়া ড. মো. মোজাহারুল ইসলাম ও শার্লী ইসলাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তিসহ নানা সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এস আই