গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় ঈদের দিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ মে) বিকেল চারটার দিকে সফিপুর উড়ালসড়কের পূর্বপাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও এনা বাসের সংঘর্ষে চারজন ও এর পাঁচ মিনিট পর সফিপুর ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন জন মারা যান।
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের স্ত্রী রেনু বেগম (৫০), গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৪৫), জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার সানন্দবাড়ী গ্রামের সাথী আক্তার (২৫), শরিফ হোসেন (২৮), এবং অজ্ঞাত অটোরিকশা চালক (৪৫)।
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর উড়ালসড়কের পূর্বপাশে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে উত্তরবঙ্গগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক (৪৫) মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ সময় অটোরিকশার আরও কয়েক যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেনু বেগম, শরীফ হোসেন ও সাথী আক্তার মারা যান।
এ দুর্ঘটনার ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই ওই ঘটনাস্থলের অদূরে সফিপুর ফ্লাইওভারের নিচে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ হোসেন (৪৫) গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করে থানায় দেয়। তবে বাস চালক পালিয়ে গেছেন।
ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, লাশগুলো উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে।