ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি বেঙ্গল মনিটর লিজার্ড বা গুই সাপকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন চার ব্যক্তি।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, আদালতে প্রমাণ হলে দোষীদের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
রত্নাগিরি জেলার চন্দোলি জাতীয় উদ্যানে গত ৩১ মার্চ এ ঘটনা ঘটে। কোলহাপুরের সহ্যাদ্রি টাইগার রিজার্ভের (এসটিআর) ফিল্ড ডিরেক্টর নানাসাহেব লাদকাত এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিকৃত মামলা। আমরা অভিযোগে একই কথা বলেছি। আসামিরা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছে।’
অভিযুক্তরা হলেন রত্নাগিরি জেলার গোথান গ্রামের সন্দীপ তুকারাম পাওয়ার, মঙ্গেশ কামতেকার, অক্ষয় কামতেকর এবং রমেশ ঘাগ।
বন কর্মকর্তারা জানান, তারা বেআইনিভাবে চন্দোলি জাতীয় উদ্যানে ঢুকেছিল। তাদের একজনের কাছে বন্দুক ছিল। বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন, ১৯৭২-এর কয়েকটি ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
সাতারা, সাংলি, কোলহাপুর এবং রত্নাগিরি চারটি জেলাজুড়ে বিস্তৃত সহ্যাদ্রি টাইগার রিজার্ভ-এসটিআর। এটি ইকো-সেনসেটিভ এলাকা হওয়ায় বন্যপ্রাণীর ওপর নজরদারির জন্য ২৯০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো আছে। এসব ক্যামেরার একটি চার ব্যক্তি খুলে ফেলেন। অন্য একটি ক্যামেরায় ঘটনা ধরা পড়ে।
লাদকাত বলেন, ‘তদন্তে দেখতে পেয়েছি অভিযুক্তরা একটি বেঙ্গল মনিটর বা গুই সাপকে ধর্ষণ করেছে। মোবাইল ফোনে তারা সে দৃশ্য ধারণ করে। আমরা আলামত জব্দ করেছি। অভিযুক্তদের দেবরুখ আদালতে তোলার পর বিচারক তাদের পাঁচ দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছেন।’