কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অপহরণের পর চার দিন আটকে রেখে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বরুড়িয়া গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণের পর একটি বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়।
এ ঘটনায় গত ১ এপ্রিল ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। সেখানে কোনো প্রতিকার না পেয়ে গত ৩ এপ্রিল কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
আসামিরা হলেন; কুমারখালী উপজেলার উত্তর পাড়সাওতা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল আহম্মেদ (২৫), একই এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হেলাল শেখ (২৮) ও মৃত উকাল শেখের ছেলে আলিমান সেখ (৩২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাসেল আহম্মেদ দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূকে উত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই গৃহবধূ তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে দাদা বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফাঁকা রাস্তা থেকে অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। ওই গৃহবধূর মেয়েকে লাথি দিয়ে ফেলে রেখে যায় তারা। এরপর মোটরসাইকেলে করে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের একটি গ্রামের একটি বাড়িতে হাত, পা ও মুখ বেঁধে তাকে আটকে রেখে ওই দিন রাত থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ধর্ষণ করে আসামিরা। ৩১ মার্চ রাত ১১টার দিকে কৌশলে ওই গৃহবধূ সেখান থেকে পালিয়ে তার বাড়িতে আসেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, বাড়িতে আসার পর ওই গৃহবধূকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পর ১ এপ্রিল কুমারখালী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করতে গেলে মামলা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো উপায় না পেয়ে গত ৩ এপ্রিল কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ঘটনার পর আমি কুমারখালী থানায় মামলার জন্য এজাহার জমা দিলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমি কুষ্টিয়া কোর্টে আইনের আশ্রয় নিলে কোর্ট কুমারখালী থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।