পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। অন্যদিকে ইমরানবিরোধীদের পক্ষে এ পদে লড়ছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ।
ডনের খবরে বলা হয়, আজ রোববার দুপুরে কোরেশি ও শাহবাজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসার কথা রয়েছে।
এর আগে আজ সকালে পিটিআইয়ের রাজনীতিক কানওয়াল শাওজাব ও জেরিন কোরেশি পার্লামেন্টে গিয়ে মাহমুদ কোরেশির পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পরে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শাওজাব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পিটিআইয়ের কোর কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শাহ মাহমুদ কোরেশি।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সচিবালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে। পরে এ সময় পরিবর্তন করা হয়। এখন ১১ এপ্রিল বেলা দুইটায় অধিবেশন শুরু হবে।
দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
ইমরান পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না। ভোটে নির্বাচিত ইমরান ২০১৮ সালের আগস্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটে কারও প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর এটাই প্রথম ঘটনা।
খুলনা গেজেট/এএ