সাতক্ষীরায় মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে এক অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় এবং সাতক্ষীরার বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন অগ্রগতি সংস্থা, সিডব্লিউসিএস ও মটস এর বাস্তবায়নে মানব পাচার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০জন নারীর মাঝে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় মানব পাচার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০জন নারী তাদের জীবনের গল্প সবাইকে শুনান।
অনুষ্ঠানে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সহিদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, অগ্রগতি সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্না ঘোষ, সিডব্লিউসিএস এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান রিপন, মটস এর প্রকল্প সমন্বয়কারী শ্যামলী রায় প্রমুখ।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, মানব পাচার বর্তমানে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও এটি দীর্ঘদিন যাবত ঘটে চলেছে। ইতিহাস ঘাটলে মানব পাচারের অনেক মর্মান্তিক ঘটনা জানা যায়। নারী পাচার রোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে কিছুটা প্রশংসা পেলেও পাচারের নতুন নতুন খবর আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পাচারকারীরা ব্যবহার করছে অভিনব সব কৌশল। সেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে বিয়ে, মডেলিং এবং বিদেশে চাকুরির প্রলোভনসহ নানা ধরনের ফাঁদ।
বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র বলছে- গত দশ বছরে ভারতে অথবা ভারত হয়ে অন্য দেশে ৫০ হাজার বাংলাদেশি নারী পাচার হয়েছেন। তবে এখন আর পাচার শুধুমাত্র দালালদের মাধ্যমেই হচ্ছে তা নয়, পাচারের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ‘বিশ্বাসযোগ্য’ উপায় ব্যবহার করছেন পাচারকারীরা। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ‘আশ্বাস: মানব পাচার হতে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের জন্য’ প্রকল্পটি মূলত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত সারভাইভারদের কাউন্সেলিং ও আইনি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য সহযোগিতা করা এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অগ্রগতি সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী অসিত ব্যানার্জী।
খুলনা গেজেট/এমএম