কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিলগাথুয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে লিটন হোসেন নামে যে বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন তার মরদেহ দেশে আনতে বিএসএফের চিঠির অপেক্ষা করছে বিজিবি।
বিজিবির প্রাগপুর কোম্পানি কমান্ডার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিএসএফ এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানায়নি। তাদের চিঠির অপেক্ষা করছি। চিঠি পেলেই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ আনার চেষ্টা করা হবে।
‘নিহত বাংলাদেশি ভালো বা খারাপ যে কাজেই যুক্ত থাক তার মরদেহ আনার ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালাব।’
শনিবার এশার নামাজের কিছু আগে ভারত থেকে মালামাল পাচার করে বিলগাথুয়া সীমান্ত দিয়ে রাতে দেশে আসছিলেন লিটন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে তার লাশ নিয়ে যায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বলেন, ‘ভারতের হোগলবাড়িয়া থানা থেকে ফোন করে তাকে নিশ্চিত করা হয়েছে মরদেহটি সেখানে আছে। হোয়াটস অ্যাপে তারা মরদেহের ছবিও পাঠায়। পরে নিহতের বাড়ি বিলগাথুয়া মাঠপাড়ায় গিয়ে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ছবির মিল পাওয়া যায়। ভারতের পুলিশ বলেছে, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তারা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করবে।’
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান জানান, নিহত লিটন বিলগাথুয়া মাঠপাড়ার আকবর বিশ্বাসের ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও ছবি মিলে যাওয়ায় তারা এখন মরদেহ আনার বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই