ঝড়ের মত কেউ কেউ আমার ভেতরে
কি ওষুধ ঢেলে গেল মগ্নতার খেয়ালে
আমি কি অতখানি সাধু? কে জানতো..
রাত শেষ হবার পরে তোমাদের চাহিদা এসে
আমাদের খড়কুটো জীবনে দিয়ে যাবে সঙ্গম।
অথচ পুরুষেরা নারীশবে গদ্য লেখে ইদানিং
অথচ নারীরা কুড়ায় অদ্যগহ্বরের সুতো
তুমিতো আমার মত কোন লোভী জিরাফ নও
শরীরখচিত নরম বারতা জুড়ে থাকবে কোরবানীর শরাব
যখন শিরেনামগুলো নেমে আসে তোমাদের নিম্নাঙ্গে
অনেক অনেক শাবকের ডাক শুনি
কাছের কোন জঙ্গল ধারে কারও ঘন্টার আওয়াজ
মিশে যায় শেষ জনপদে…
হয়রাণ হতে থাকা পুরুষগুলো গৃহিণীদের হয়ে ছুটোছুটি করে
দেয়ালে দেয়ালে এঁকে দেয় সুরকি
রুমালের নিচে চাপা পরে থাকা জখমি হৃদয়
উঠে আসতে চায় লোকালয়ে
ভালবাসা কি তখনো শেষ হয়?
শেষ পদ্যে অনেক বাকি রেখে
বাজারে যান, ফাইফরমাশ খাটেন জড়তামাখা বেদুঈন
আবার কোন মৈথুনকাল
চেপে ধরে শিশ্নে আতপ
ছদ্মবেশী রাত তিলোত্তমা নগরীর দিকে
আসতে আসতে ক্লান্ত হয়ে বসে থাকে দূরের জংশনে
আমি তার কথাবার্তা শুনি স্পষ্ট-
উঠে দাড়াতে মন চায় না।
এই এক অখেয়াল কখনো চিনা রুটি
ডালের বদলে মানবহংসি রূঢ়
হৃদয়জুড়ে আর কোন বারতা আনে না
আমি জানি, শেষ হুইসেল কবে জেগেছে; কেউ তা মনে রাখে না।
আহ জীবন! এভাবে দেয়ালের খড়তাপ গায়ে মেখে
ষাটোর্ধ্ব মানুষের হয়ে কেন যে দোল খাও চারপাশে?
এসো সমবেত হই যৌন ও যাপিত জীবনে
মানুষের মডারেটর খুঁজে আবার আমরা
এসো জীবনের গান গাই। এসো নত হই।
খুলনা গেজেট/ টি আই