করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপি এক কোটি মানুষের মাঝে গণটিকাদান কার্যক্রম প্রদানের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণটিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত আরও প্রায় ৩০ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। গণটিকাদান কার্যক্রম চলবে আরও দু’দিন।
জানা যায়, দেশ ব্যাপি গণটিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সাতক্ষীরায় ১লাখ মানুষকে টিকা দানের কর্মসূচি নেয়া হয়। শনিবার সকাল থেকে জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে ও দু’টি পৌর সভার মোট ২৪৩ টি কেন্দ্রে একযোগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে উক্ত গণটিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত। জেলায় প্রথম দিন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষকে করোনা টিকা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ূন কবির ও সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রের টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। জেলার টিকাদান কেন্দ্রে গুলিতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, জেলায় শনিবার গণটিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা দিয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, গণটিকাদান কার্যক্রমে জেলায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত আরও ৩০ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে ও দু’টি পৌর সভায় গণটিকা প্রদানের প্রথম দিনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার। কিন্তু সবশেষ তথ্য অনুযায়ি প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ প্রথম দিন টিকা নিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, মন্ত্রী মহদয়ের নির্দেশে গণটিকাদান কার্যক্রমের সময় আরো দু’দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেকারণে রোববার ও সোমবার গণটিকাদান কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। জেলায় টিকাদান কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় শেষের দিকে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জেলার উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ এবং দেবহাটা উপজেলার কিছু মৎস্যজীবী ও ভাটা শ্রমিক জেলার বাইওে রয়েছে। এছাড়া পড়া লেখার কারণে কিছু ছাত্র-ছাত্রী জেলার বাইওে থাকায় তাদেরকে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে গণটিকাদান কার্যক্রম শেষ হলেও ফিরে এসে তারা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে চলমান নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই