ঝড়ে উপড়ে গেল সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটনের স্মৃতির সঙ্গে জড়িত সেই আপেলগাছ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যজুড়ে আঘাত হানা ঝড় ইউনিসে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেনে থাকা ওই গাছটি উপড়ে যায় বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
গাছ থেকে আপেল ওপরে না গিয়ে মাটিতে পড়ল কেন- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ১৬৮৭ সালে নিউটন আবিষ্কার করেছিলেন মহাকর্ষের সূত্র।
উল্টে যাওয়া গাছটি মূল আপেলগাছ থেকে বেড়ে ওঠা একটি গাছ। অর্থাৎ এটি সেই গাছ থেকে ক্লোন করা, যেটি নিউটনকে মহাকর্ষের সূত্র আবিষ্কার করতে পরিচালিত করেছিল।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের কিউরেটর ড. স্যামুয়েল ব্রোকিংটন জানান, ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছটি ১৯৫৪ সালে লাগানো হয়েছিল। ৬৮ বছর ধরে গাছটি গার্ডেনের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে ছিল।
মূল আপেলগাছটির তিনটি ক্লোন করা হয়েছিল, এখন একটি ক্লোন শিগগিরই বাগানের অন্য জায়গায় রোপণ করা হবে বলে জানান তিনি।
১৯ শতকে ঝড়ে উল্টে গেলেও মূল গাছটি বেঁচে ছিল এবং বিশেষ প্রক্রিয়ায় এর বংশবিস্তার করা হয়।
মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে; যাকে বলা হয় মহাকর্ষ। ১৬৮৭ সালে নিউটন বিষয়টি একটি সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করেন।
নিউটনকে জড়িয়ে যে আপেলগাছ নিয়ে এত ঘটনা, সে গল্পের সত্যতা নিয়েও অবশ্য আছে প্রশ্ন। তবে সবচেয়ে পরিচিত গল্প হলো, বিজ্ঞানী নিউটন বসেছিলেন আপেল বাগানে। হঠাৎ একটি আপেল পড়ল তার মাথায়।
আপেল বিষয়ে একটি ঘটনা নিউটন বলেছিলেন তার জীবনীকার উইলিয়াম স্টাকলিকে। তার লেখা ‘মেমোয়ার্স অব স্যার আইজাক নিউটনস লাইফ’- প্রকাশ পায় ১৭৫২ সালে।
স্টাকলি লিখছেন, রাতের খাবারের পর বাগানে আপেলগাছের নিচে বসে ছিলেন নিউটন। যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা তার মনে আসে তখন তিনি আপেল পড়া নিয়েই ভাবছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই