কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে এক নারীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকা থেকে শনিবার গভীর রাতে মো. লালনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ দাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের কলাবাগান থেকে সজনীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) নান্নু খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকালে লালন ভেড়ামারা থানায় স্ত্রী নিখোঁজের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগে বলা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সজনী।
শনিবার বিকেলে সজনীর মা-বাবা থানায় যান অভিযোগ করতে। বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, ১৩ বছর আগে লালন ও সজনীর বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিছুদিন ধরে লালন স্ত্রীকে নির্যাতন করছিলেন। একপর্যায়ে সজনী বাবার বাড়ি চলে যান।
১৬ ফেব্রুয়ারি লালন জোর করে সজনীকে বাড়ি নিয়ে যান। ১৭ ফেব্রুয়ারি ফোনে শাশুড়িকে জানান তার স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওসি জানান, শনিবার বিকেলে সজনীর মা-বাবা থানায় থাকাকালীন নারীর দগ্ধ মরদেহ পাওয়ার খবর আসে। মরদেহ দেখে সজনীর মা-বাবা এটি মেয়ের বলে শনাক্ত করলেও লালন অস্বীকার করেন। পুলিশ সে সময় লালনকে আটক করে।
পুলিশ কর্মকর্তা নান্নু বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছি, এটি সজনীর মরদেহ। তার বাবা শনিবার রাতে লালনের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
‘পরিবারের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা করে পরিচয় গোপন করতে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই