হরিণাকুণ্ডুের জিকেসেচ প্রকল্পের শাখা কুমারখালের উপর কুলবাড়িয়া বাজারে বহু বছর আগে নির্মিত হওয়া সেতুটি আজ ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এর এক পাশের অর্ধেক অংশ ভেঙে গেছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শত শত ব্যবসায়ী।
এতে উপজেলার ফলসি ও তাহেরহুদা দুই ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী দুটি জেলার কয়েক গ্রামের হাজারও মানুষের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা সদরে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম। ইতোপূর্বে অনেক লেখালেখির পর দায়সারা ভাবে বালির বস্তা দিয়ে চলাচলের উপযোগি করা হলেও সেটাতে কোন লাভ হয়নি। আবারও একই স্থান ভেঙ্গেচুরে পূর্বের ন্যায় হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আঁশির দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয়রা বলেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় সেতুটির অবস্থা বেহাল।
উপজেলার ফলসী ও তাহেরহুদা ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া, আদর্শআন্দুলিয়া, তাহেরহুদা, ভবানীপুর সহ পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়ক এটি।
কুলবাড়িয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হবিবর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটির একপাশ ভেঙে গেছে। মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হচ্ছে না।’
উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সেতুটির সংস্কার হচ্ছে না। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সেতুটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং অস্থায়ীভাবে সংস্কার করেছিল, কিন্তু লাভের কিছুই হয়নি আবার একই অবস্থা হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ‘সেতুটি সংস্কারের জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে এলজিইডির মাধ্যমে সেতুটি সংস্কারের চেষ্টা চলছে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ থেকে জনগনের তাতক্ষনিক চলাচলের জন্য সেতুটি অস্থায়ীভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। এবার স্থায়ী সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী ছরোয়ার জাহান সুজন বলেন, ‘স্থানীয়রা যোগাযোগ করলে আগামী বছর ইমিপ প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুটির পুননির্মাণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম