বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সার্চ কমিটির আমাদের কাছে কোনো মূল্য নেই, এটি অর্থহীন। নাম দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে দেখতে গিয়ে আজ সোমবার এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারণ গতবার এবং তার আগেরবারের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এগুলো করে কোনো লাভ হয় না। সরকার যে থাকে, তার যে পছন্দনীয় লোক থাকে, তাকে দিয়ে কমিশন করে। তাই এ সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কারও নাম প্রস্তাব করবে না বিএনপি।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এক জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। তাঁর পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যের হুকুমে এ হামলা হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমরা আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি—আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। অর্থাৎ তারা একটা আইন করে নিয়েছে, যেটা সম্পূর্ণভাবে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।’
সার্চ কমিটিকে ‘নতুন বোতলে পুরাতন মদ’ বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির গঠন করা সার্চ কমিটির অধিকাংশ সদস্যই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত। গতবারও যেভাবে করেছে, ঠিক একইভাবে এবারও শুধু খোলস লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার করার জন্য… যে দেখো, আমরা সুন্দরভাবে করছি, সবার কাছ থেকে মতামত নিচ্ছি। তারপর শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে যে হুদার (সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা) ইসি নিয়োগ করেছে। এ সার্চ কমিটির মধ্যেও বেশির ভাগ লোকই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন তো আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। এ ধরনের যে সার্চ কমিটি সরকার তৈরি করবে, সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। জানি বলেই এ সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার ব্যাপারে না করে দিয়েছে।’
সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি যদি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয়, এটা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না যদি নির্বাচনকালীন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকে। অর্থাৎ নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
খুলনা গেজেট/এএ