মাঘের শেষের দিকে এসে শুক্রবার বর্ষাকালের মতো বৃষ্টি ছিল দেশ জুড়ে। শনিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি থাকতে পারে। যদিও আগেই চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ।
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে খুলনায়। ঢাকায় ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া মাদারীপুরে ৫৬, দিনাজপুরে ৫২, রাজারহাট ৫০, চাঁদপুরে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত রাতভরই ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিলো। সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকলেও আকাশে মেঘের আনাগোনা রয়েছে। মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে মেঘের আড়ালে লুকানো সূর্য।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মাঘ মাসের ২২ তারিখ। এদিন সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের দিকে বৃষ্টি হচ্ছে এবং তা শনিবারও অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর ও সিলেট বিভাগের দিকে ছিটে-ফোঁটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোববার থেকে সেভাবে আর দেশের কোথাও বৃষ্টি থাকবে না।
‘শনিবার ঢাকা এবং খুলনা অঞ্চল মোটামুটি বৃষ্টিহীন থাকতে পারে। তবে মেঘের আনাগোনা থাকবে। রাজশাহী ও যশোর অঞ্চল মোটামুটি মেঘমুক্ত রয়েছে। সেখানে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’
রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে জানিয়ে শাহনাজ সুলতানা বলেন, ‘তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার ফলে দেশের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। রাজশাহী ও যশোর অঞ্চলের উপর থেকে মেঘ কেটে গেছে। মেঘ কেটে যাওয়ায় ঠান্ডা বাতাস ঢুকবে, তাই এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দিকে আবার বৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, তখন হালকা বৃষ্টি হতে পারে এখনকার মতো ভারি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা নেই।
খুলনা গেজেট/এনএম