রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর ড. লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হিমেল নামে চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে উপাচার্য বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ট্রাকের চাপায় মাথা পিষ্ট হয়ে শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নেন। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। পরে সেখান থেকে সরে এসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে দুর্ঘটনায় গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেল নিহত হন। তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ড্রামা অ্যাসোসিয়েশনের (রুডা) সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দফতর সম্পাদক ছিলেন।
এ সময় সিরামিক ও ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান প্রামাণিক আহত হন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসে দুটি আবাসিক হল ও একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হল নির্মাণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের সামনে। অন্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের পাশে। শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে একাডেমিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজে ট্রাকযোগে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে হিমেল ও রায়হান মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নির্মাণ সামগ্রীবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই হিমেল মারা যান। রায়হানকে আহতাবস্থায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানা গেছে।