খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটে হারিয়ে খুলনার জয়

ক্রীড়া প্রতি‌বেদক

দুই দিন বিরতির পর আজ শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্ব। দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। যেখানে চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে একরকম শোধ নিয়েছে টাইগার্স।

আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্য পৌঁছে যায় খুলনা। বাকি ছিল আরো ৭ বল।

ঢাকা পর্বেই মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা ও চট্টগ্রাম। সেই ম্যাচের পর আর কোনো ম্যাচ খেলেনি দুই দল। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৯০ রান সংগ্রহ করেছিল চট্টগ্রাম।

জবাবে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। তবে এ ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দলটি। যার ফলে বলা যায় প্রতিশোধ নিল মুশফিকের দল।

খুলনার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকার। সুস্থ হওয়ার পর বিপিএলের চলতি আসরে এটাই ছিল সৌম্যের প্রথম ম্যাচ। তবে ফেরার উপলক্ষটা রাঙাতে পারেননি তিনি। এই ওপেনার ফেরেন মাত্র ১ রানে। বেনি হাওয়েলের তালুবন্দী করে তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। দুজনে মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রনি ফিরলেও ফ্লেচার আর মুশফিকুর রহিমের জুটিতে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল খুলনা। তবে ৫৮ রান করা ফ্লেচারকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফেরান দলপতি মেহেদী হাসান মিরাজ।

এরপর সেকুগে প্রসন্নকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। জয়ের ঠিক আগে, স্কোর সমতায় থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফেরেন প্রসন্ন। অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মাঠে থেকে দলের জয়ের সাক্ষী হন থিসারা পেরারা।

এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দল দুটির লড়াই শুরু হয় দুপুর দেড়টায়। যেখানে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কেনার লুইস ও উইল জ্যাকস। ইনিংসের শুরুতে মাত্র ১ রান করেই ফেরেন লুইস। এরপর আফিফকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন জ্যাকস। দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল চট্টগ্রাম। তবে দলীয় ৬০ ও ব্যক্তিগত ২৮ রানে জ্যাকস ফিরলে সে স্বপ্নে লাগে ধাক্কা।

এরপর বাকীটা সময় চট্টগ্রামের ব্যাটাররা ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। উইকেটে থিতু হতে পারেননি কেউই। সাব্বির রহমান, মেহেদী মিরাজ, বেইন হাওয়েল, শামীম পাটোয়ারি কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন আফিফ হোসেন।

শেষ দিকে নাঈম ইসলামের অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে বলার মতো সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। খুলনার হয়ে থিসারা পেরেরা একাই ৩ উইকেট নেন। এছাড়া নাবিল সামাদ, মাহেদী হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বী, সেকুজ্ঞে প্রসন্না ও ফরহাদ রেজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!