ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী বলেছেন, আজ পবিত্র ১০ই মহররম ৬১ হিজরীর এই দিনে কারবালার তপ্ত মরুপ্রান্তরে নানার দ্বীনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (আঃ) তাঁর সঙ্গী-সাথীসহ তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন। কীভাবে নবীর (সা.) উম্মতই নবীর (সা.) সন্তানকে হত্যা করলো (!)? -এ জিজ্ঞাসা সব যুগের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের। আর এ ধরনের প্রশ্ন জাগাটাও খুব স্বাভাবিক। কারণ, ইমাম হোসাইনের (আ.) মর্মান্তিক শাহাদাত এক বিষাদময় ঘটনা কিংবা আল্লাহর পথে চরম আত্মত্যাগের এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্তই শুধু নয়, এ ঘটনাকে বিশ্লেষণ করলে বড়ই অদ্ভুত মনে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর তিরোধানের মাত্র ৫০ বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই এ হত্যাকান্ড চালানো হয়।
পৃথিবীর ইতিহাসে আল্লাহর পথে এ পর্যন্ত যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) এর শাহাদাত ছিল অতুলনীয়। ইতিহাসে অনেক দুঃখজনক ঘটনাই স্মরণাতীতকাল থেকে ঘটে আসছে। কালের করালগ্রাসে সেই সকল ঘটনা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। কিন্তু কারবালার ঘটনা এতই অনন্য যে যুগে যুগে এর স্মৃতি মানুষের মণিকোঠায় বার বার এসে ভাস্বর হয়ে উঠে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে কারবালার মর্মস্পর্শী ঘটনা মানব হৃদয়কে আরো জোরে নাড়া দিয়ে যায়।
রবিবার (৩০ আগস্ট) আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ট্রাষ্ট আয়োজিত শোক সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ইঅধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলীল রাজাভী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) দেখা দেওয়ায় এ বছর সামাজিক নিরাপত্তার কারণে শোক মিছিলের আয়োজন করা হয়নি। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট / এমএম