খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। রাজনৈতিক মাঠে সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শের উজ্জ্বলতার প্রতিচ্ছবির নাম সৈয়দ আশরাফ। তিনি ছিলেন একজন বিরল রাজনীতিবিদ। তার মতো নির্মোহ, সৎ ও সাহসী রাজনীতিবিদ বার বার জন্মান না।
তিনি বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৎ, ত্যাগী, পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত নেতা। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসামান্য অবদান এবং ১/১১ এর সময় তার সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। ২০১৩ সালের ৫মে হেফাজতের তান্ডবের সময় সৈয়দ আশরাফের কঠোর ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব হেফাজতের ভীত কাপিয়ে দিয়েছিলো। তিনি সময়োপযোগী দায়িত্বশীল কর্মকান্ডের মধ্যে রাজনীতিতে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছিলেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তিনি সারাজীবন সবার কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
সোমবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় সভায় আরও বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. মো. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ নুর মোহাম্মদ, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, তসলিম আহমেদ আশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মোতালেব হোসেন, মীর বরকত আলী, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, রনজিত কুমার ঘোষ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, রুহুল আমিন খান, বাদল সরদার বাবুল, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, এমরানুল হক বাবু, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মীর মো. লিটন, মো. সিহাব উদ্দিন, মো. আব্দুল কাদের, যুবনেতা এ্যাড. আল-আমিন উকিল, মো. তাজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের শেখ, রোজী ইসলাম নদী, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভিন ইলিয়াছ, নূরানী রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, জেসমিন সুলতান শম্পা, কৃষক লীগ নেতা মো. আইয়ুব আলী খান, মো. আলমগীর মল্লিক, মো. শহীদুল হাসান, যুব নেতা ইলিয়াছ হোসেন লাবু, ছাত্রনেতা জব্বার আলী হীরা, ইয়াসির আরাফাত, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, বায়েজিদ সিনা, সংকর কুন্ডু, মো. চয়ন হোসেন সহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় শেষে মরহুম সৈয়দ আলরাফুল ইসলামের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মো. রফিকুল ইসলাম ও হাফেজ মো. আব্দুর রহিম।