সাফিয়া সিলভী (১৫)। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষাতেও পেয়েছিল জিপিএ-৫। এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে সাফিয়া। অদম্য মেধাবী এই সন্তানের ভালো ফলাফল করায় আজ তার পরিবারের সদস্যদের মিষ্টি বিতরণের কথা। অথচ বাড়িজুড়ে চলছে কান্নার রোল।
সবার জন্য আনন্দের খবরটা সাফিয়া শুনে যেতে পারেনি। কারণ পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক দিন পর সাফিয়া মারা গেছে।
সাফিয়া রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পুরান তাহেরপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও স্কুলশিক্ষক মরিয়ম খাতুনের মেয়ে। বিয়ের ১৬ বছর পর এই দম্পতির ঘরে আসে সাফিয়া।
নিকটাত্মীয়রা জানান, এসএসসি পরীক্ষার তিন দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে সাফিয়া। এক বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাকে রাজশাহী মহানগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। অসুস্থ হওয়ার পরও সাফিয়া পরীক্ষা দিতে চায়। তাই অসুস্থ অবস্থায়ই পরীক্ষায় অংশ নেয় সাফিয়া।
পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ২৭ নভেম্বর অস্ত্রোপচার করার আগেই সে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার এসএসসির ফল প্রকাশের পর জানা যায়, সাফিয়া সব বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছে।
সাফিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, সাফিয়া আমাদের একমাত্র সন্তান ছিল। লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল। সাফিয়াকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েও সাফিয়া ভালো ফলাফল করেছে। এ ফলাফল আমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই