যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের পরীক্ষায় চার জেলার আরো ৮০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন যশোরের সিভিল সার্জন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, শনিবার তাদের ল্যাবে চার জেলার মোট ২১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৮০টির ফলাফল পজিটিভ এসেছে। বাদ বাকি ১৩৮টি নমুনার নেগেটিভ ফল এসেছে। রোববার সকালে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, এদিন যশোরের ৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এছাড়া মাগুরার ১২টি নমুনা পরীক্ষা করে একটি, বাগেরহাটের ৮০টির মধ্যে ২০টি এবং সাতক্ষীরার ৯৪টির মধ্যে ৪৪টি নমুনা পজিটিভ হয়। যশোরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। এদিন সকালে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, জ্বর হওয়ায় তিনি শনিবার নিজের নমুনা দিয়েছিলেন। এদিন পাওয়া ফলাফলে জানতে পেরেছেন তিনি পজিটিভ। তিনি বলেন, আপাতত তিনি তার সরকারি বাংলোতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেবেন। পরে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই নিয়ে যশোরে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য গঠিত জেলা কমিটির তিন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন। প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়। ইতিমধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পরে আক্রান্ত হন প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ফলে স্বাস্থ্য প্রশাসন সামলানোর জন্য বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদকে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।